শিক্ষা জাতীর মেরুদন্ড । শিক্ষিত জাতি বা জনগোষ্ঠি যে কোন দেশের সম্পদ । দেশের উন্নয়ন এবং দেশত্ববোধ শব্দটির সাথে শিক্ষা বিষয়টি জরিত । কারন কোন ব্যক্তি যখন দেশ, নিজ , সমাজ , পরিবার এমন কি বিশ্ব সম্পর্কে যতক্ষন না জানবে ততক্ষন তার ভেতরে দেশাত্ববোধ জাগ্রত হওয়া অস্বাভাবিক। ইতিহাস আমাদের চোখের সামনে তুলে ধরে যে, বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব পলাশী প্রান্তরে বাংলাকে হারিয়ে ছিলেন এদেশের সাধারন জনতার সামনে। সাধারন মানুষের চিন্তা ছিল : রাজায় রাজায় লড়াই, রাজার দেশ রাজায় রক্ষা করবে, এক রাজা হারলে অন্য রাজা জিতবে । আমাদের কি!
এসব চিন্তার মূল কারন হলো তাদের মধ্যে দেশাত্ববোধ অনুভূতিটি ছিল না। কারন তারা শিক্ষিত ছিল না। শিক্ষার অভাবে প্রতিবাধের ভাষা তাদের জানা ছিল না। মানুষ মানুষের মাঝে ভিবেদ তৈরি করে পেলল। ফলসরুপ ইংরেজ জাতি এদেশের মানুষকে ২০০ শত বছর শোষন করল।
১৯৪৭ সালে দেশ ভাগ হল । জন্ম হল পাকিস্তান এবং ভারত নামে দুটি দেশ । পাকিস্তানের কাছ থেকে বিজয় ছিনিয়ে নিল বাংলা মায়ের সন্তানেরা । নাম হলো বাংলাদেশ । সাধারন মানুষের চোখ খুলতে শুরু করল । তাদের সন্তানদেরকে জ্ঞান অর্জনের জন্য মক্বত, মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজ, এবং সমাজের শিক্ষিত ব্যাক্তিদের কাছে পাঠাতে শুরু করল। সরকার শিক্ষাকে সার্বজনিন করার লক্ষ্যে বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা, অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষা চাণু করেন। সমাজের সর্বস্তরের জনসাধারনকে অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন করার জন্য চালু হয় বয়স্ক শিক্ষা।
বর্তমান সময়ে আমাদের সমাজে শিক্ষিত জনগোষ্ঠির সংখ্যা প্রায় ৬৯%। শিক্ষিত সমাজ চাকুরী, রাজনীতি , ব্যবসায়, অর্থনীতি , সমাজ উন্নয়ন , প্রাকৃতিক দুযোগে স্বতস্পূর্তভাবে ক্ষতিগ্রস্থদের সাহায্য এবং বিদেশে চাকুরী করে দেশ এবং জাতীর উন্নয়নে অসাধারন অবদান রাখছে।
ডৌহাখলা ইউনিয়ন এর শিক্ষা ব্যাবস্থা :
ডৌহাখলা ইউনিয়নে শিক্ষার ক্ষেত্রে যে সব সরকারী ওবং বেসরকারী প্রতিষ্টান রয়েছে তার তালিকা দেওয়া হল :
১। ডৌহাখলা উচ্চ বিদ্যালয়
২। মোজাফ্ফর আলী উচ্চ বিদ্যালয়
৩। ডৌহাখলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়
৪। মরিচালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়
৫। পানাটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়
৬। সিংজানী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়
৭। হিরনসনখিলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়
৮। আহসানপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়
৯। সাব্দুল সরকার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়
১০। ঝাউগাই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়
১১। কলতাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়
১২। রউজ বিদ্যানিকেতন
১৩। তাঁতকুড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়
এছাড়া রয়েছে বিভিন্ন বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, এনজিও, সেচ্চাসেবী সংগঠন কর্তৃক পরিচালীত শিক্ষা কার্যক্রম।
মাদ্রাসা , মক্তব, এতিমখানা, মসজিদ ভিত্তিক পাঠাগার ব্যবস্থা ইত্যাদির মাধ্যমে শিক্ষার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস